২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

নওগাঁর মান্দায় পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন একুশে পরিষদের সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বাদল!

মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধি: জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই পড়ার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হলো লাইব্রেরী।

কিন্তু মান্দা উপজেলা পরিষদে কোনো সরকারী লাইব্রেরী না থাকায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য একটি ডিজিটাল পাবলিক লাইব্রেরী স্থাপনের দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মান্দা উপজেলার এক তরুণ সমাজকর্মী তৌহিদুল ইসলাম বাদল। তার ফেসবুক আইডি থেকে হুবুহু পোস্টটি তুলে ধরা হলো:

“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়। আর যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী।”

বই পড়া প্রবন্ধে এমন উদ্ধৃতি দিয়েছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী।

আশার বানী এই যে, বই পড়ার গুরুত্ব আমরা সবাই অকপটে স্বীকার করি এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ছাত্রদের উদ্দেশ্য বক্তব্য দিয়েও থাকি।

বর্তমান সময়ে আমাদের মান্দা উপজেলাকে মাদকমুক্ত ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে ছাত্রসমাজকে বই ঘরে ঢুকাতে পারলে আশু ফল প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের এই মান্দা উপজেলা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হলেও এ উপজেলায় সরকারী কোনো লাইব্রেরী বা গ্রন্থাগার নাই।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কোনো রকম চিন্তা-ভাবনা বা পরিকল্পনাও নাই।

উপজেলা প্রশাসন সারা বছর ঘটা করে বিভিন্ন দিবস উদযাপন করে থাকেন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো,গত ৫ ফ্রেবুয়ারী যে “জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস” ছিল তা হয়তো মনে হয় ভুলে গিয়েছিলেন?

ও হ্যা;দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি।”

যা হোক প্রশাসনের ভুল ধরে ভুল করার দুঃসাহসিকতা দেখানো বড়ই অপরাধ।

পোস্টটি লেখার আগে একজন সাবেক ও একজন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি আমাদের উপজেলাতেও কাগজে কলমে একটি সরকারী লাইব্রেরী আছে, যা লোকচক্ষুর অন্তরালে।

স্বয়ং লাইব্রেরীই যদি লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকে, তবে বই পড়ার স্বপ্ন দেখা দুঃস্বপ্নেরই নামান্তর।

দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের সদয় অনুরোধ করতে চাই সাধারণ জনগণকে সভ্য ও বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়তে চাইলে তাদেরকে জ্ঞান আহরণের সুযোগ করে দিন।

তাহলে রাস্তা পরিস্কার তথা পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার জন্য কোনো কর্মসূচির প্রয়োজন হবে না, ছাত্রদের নিয়ে মাদক, জঙ্গিবাদ কিংবা অনলাইন ব্যাধির ভীতি থাকবে না।

আর সেই জন্যই প্রয়োজন একটি সক্রিয় ডিজিটাল পাবলিক লাইব্রেরী ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার), #মহান শিক্ষাগুরু ও মানীয় সাংসদ (৪৯ নওগাঁ, ৪- মান্দা), #নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান (মান্দা), #সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (মান্দা), #তারুণ্যঝঙ্কারে উদ্ভাসিত বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) (মান্দা) ও #আলোকিত সাংবাদিক মহোদয় বৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ★দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এমন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন মান্দার এক তরুন যুবক। যিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত অাছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ৪ নং মান্দা ইউ’পির ঘাটকৈর গ্রামে জন্ম গ্রহনকারী অাছের অালী মৃধার পুত্র তৌহিদুল ইসলাম বাদল (২৭) নামের এক তরুন যুবক এ দাবি জানিয়েছেন।যিনি সম্প্রতি রাজশাহী কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের উপর এমবিএ কমপ্লিট করেছেন।

এ কথা উল্লেখ করা ভাল যে, বই পড়া প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী এ-ও বলেছেন যে, আমাদের দেশে হাসপাতাল স্থাপনের চেয়ে লাইব্রেরী স্থাপনের গুরুত্ব কম নয়।

তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও বই পড়তে ও লিখতে ভালোবাসতেন।

ফেসবুকে তৌহিদুল ইসলাম বাদল লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্নজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং মাননীয় পিএম এর “ওরা টোকাই কেন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সাদা কালো, PEPOLE AND DEMOCRACY, THE QUEST FOR VISION 2021” বিশ্বনন্দিত হয়েছে।

তাই মান্দাবাসির পক্ষে আমরা আশা করতে পারি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার একটি মুচকি হাসিতেই আমরা পেয়ে যাবো একটি ডিজিটাল পাবলিক লাইব্রেরী।

কারণ আমরা দেখেছি কোনো কাজে আপনি ছোট করে একটু হাসি দিলে আল্লাহর ইচ্ছায় সেটা হয়ে যায়।

বলে রাখা ভালো, আমাদের প্রিয় নবীজিও মুচকি হাসি হাসতেন। আমার বিশ্বাস এই ছোট্ট একটি লাইব্রেরী আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকেই তরান্বিত করবে।

অার আমরা গড়তে পারবো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

সেই প্রত্যাশাসহ সকলের জন্য শুভ কামনা করেছেন তৌহিদুল ইসলাম বাদল। যিনি বিগত সময়েও প্রশাসনের দৃষ্টি অাকর্ষণ করতে বিভিন্নভাবে মান্দাবাসীর কল্যাণে নিবেদীত প্রাণপুরুষের ন্যায় অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। যিনি ইতিপূর্বে ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং বর্তমানেও অাছেন। লেখালেখির ক্ষেত্রে রয়েছে তার চরম স্বার্থকতা। কেননা তৌহিদ বরাবরই বিষয়ভিত্তিক, সমসাময়িক তথ্যবহুল,লেখালেখির মাঝে ডুবে থাকেন। অার তাই মান্দাবাসীও এই ক্ষুদে সমাজকর্মীর জন্য সবসময় মন থেকে দোয়া এবং সফলতা কামনা করেন।#

প্রকাশিত: মাহবুব আলম জুয়েল

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ